ডিপ্রেশন, সম্পর্ক ও সমাজ- অপু চন্দ্র বর্মন

হাসির আড়ালে লুকানো কষ্ট

হাসির আড়ালে লুকানো কষ্ট

আচ্ছা তুমি এতো পরিমাণ ডিপ্রেশনে থাকো তাহলে আবার কি করে এতো হাসি খুশি থাকতে পারো বলো তো। বন্ধুদের সাথে ঠিক ঘুড়তে যাও, আবার আড্ডা করো, আবার ফেসবুকে ছবি পোস্ট করো, কি সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখো। আচ্ছা প্রেমে পড়ছো নাকি নতুন করে!

শুনলাম এসএসসি রেজাল্টও একটু খারাপ করেছো... তুমি এমন কেনো বলতো পারো? শুনো, মানুষ এর মন খারাপ হলে কি ঘুড়তে যেতে পারে? এই রকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় আমাকে।

আচ্ছা আমার ও তো কিছু ভালো লাগা আছে, আমি তো একটা মানুষ, আমার ও ইচ্ছে আছে! হ্যাঁ আমি অনেক ডিপ্রেশনে থাকি, একা একা বসে নিরবে কাঁদি, জ্বর ঠান্ডা লেগে যায় মাঝে মাঝে—তখন তো কেউ কেয়ার করে না। কেউ তো চোখের নিচে যখন কালি পড়ে যায়, তখন কেউ তো জোর দিয়ে বলে না, "এই তোর কি হয়ছে?"

হ্যাঁ, আমি ঘুড়তে খুব পছন্দ করি, আড্ডা দিতে ভালবাসি। কারণ ওদের সাথে থাকলে আর মন খারাপ হয় না। তখন আমি নিজেই ওদের কথা শুনে হাসি। সেই হাসির কথা যখন মনে পড়ে, নিজেকে খুব সুখী মনে হয়!

আমি পরীক্ষাতে খারাপ করেছি—হ্যাঁ, আমার নিজের ভুলের কারণে। এটা আমি নিজে ঠিক করবো। কেনো বাবা কে অন্য কারো কাছে মাথা নিচু হতে দিব? বলতে পারেন? উত্তর নেই আপনার কাছে।

আমি কতটা সুখী আপনি জানেন না, হয়তো আর কখনো জানতে ও পারবেন না। শুধু এইটুকু বলি, গুনে ধরা কাঠের মতো আমার জীবন হয়ে গেছে। আমার মনভাব গুলি এখন আর কারো কাছে প্রকাশ করতে চাই না, কারণ আর কারো হাসির পাত্র হতে চাই না।

আমি যখন থাকবো না, কারো কথার ইস্যু হতে চাই না! হ্যাঁ, আমাকে নিয়ে আপনার অনেক সমস্যা—চোখ টা বন্ধ করে রাখুন না। তাহলে আর সুখ, দুঃখ, ভুল গুলি আপনার চোখে ধরা পড়বে না।

আমার লাইফ, আমার মতো করে থাকতে দিন না। এতো সমস্যা কোথায়—বুঝতে পারিনা।

Next Post Previous Post