বিবেকের পশুত্ব- অপু চন্দ্র বর্মন
বিবেকের পশুত্ব
লেখক: অপু চন্দ্র বর্মন
পশু হয়েছে মানুষ, মানুষ হয়েছে পশু,
চেতনার শিখায় জ্বলে না আজ মনের বসু।
বিবেকের বৃত্তি ভেঙে গেছে নির্লজ্জ ছলে,
অমানবিক রূপে প্রাণী দাঁড়ায় শাসনের তলে।
শিক্ষার আড়ালে গোপন মিথ্যা অগাধ,
পথভ্রষ্ট সভ্যতা পায় না শান্তির বাধ।
বিবেকহীন মিথ্যে কথা ছড়ায় চারিদিকে,
মানুষের মুখোশ পড়ে পশু থাকে দৃষ্টির ছে'কে।
ক্ষমতার মসনদে বসে শোষণের রাজা,
ন্যায়ের কণ্ঠরোধে চলে অত্যাচারের সাজা।
ধ্বংসের নগরে বাজে নিস্তব্ধ রণধ্বনি,
মানুষের প্রাণ ছুঁড়ে দেয়, ভেঙে যায় সমস্ত ধনী।
সৃষ্টির বুকে জ্বলে অনাচারের শিখা,
পশুর কণ্ঠে বাজে মিথ্যের অভিশাপিকা।
স্বার্থের জালে বন্দী করে নিপুণ হাত,
পশু মনুষ্যরূপে কেড়ে নেয় শান্তির সাথ।
পথে ঘোরে ভীত, নির্লজ্জের উল্লাসে,
নিরীহ প্রাণীর চিৎকার দমিত হয় কৌশলে।
মানুষের মস্তিষ্কে জমে পশুত্বের বোধ,
সভ্যতার প্রাঙ্গণে ফুটেছে ন্যায়ের নিরোধ।
সমাজের কাননে ছড়ায় ভ্রান্তির বীজ,
বিবেক হারানো মনুষ্য পশুরই অধিকারী।
সত্যের বাণী চাপা পড়ে নিন্দার বাঁধনে,
পশু হয়ে মানুষ ঘুরে ক্ষমতার গাঁথনে।
কোথায় সেই আলো, কোথায় মানব-গুণ?
স্নেহের পৃথিবীতে আজ শুধু হিংসার ধ্বন।
পশু হয়েছে মানুষ, মানুষ পশুর মতো,
সভ্যতার পথে আজ নেমেছে অমানবিক যত।
এই কি তবে মানবের শ্রেষ্ঠত্বের চিহ্ন?
যেখানে পশুসম বোধ নিয়ে দাঁড়ায় দম্ভ?
নির্লজ্জ মনুষ্যকুল চায় ক্ষমতার থাবা,
বিবেকহীন মানুষেরা পশু, এটাই তাদের প্রভা।