সমান অধিকারের পথে - অপু চন্দ্র বর্মন
সমান অধিকারের পথে
কবি: অপু চন্দ্র বর্মন
নারী নিয়ে মাতামাতি, চলছে সবখানে,
অধিক সম্মান দিয়ে কেউ পুরুষ নিচে টানে।
নারীকে কেউ অধিক সম্মান দিয়ে চায়,
পুরুষকে নিচে নামিয়ে তার শ্রেষ্ঠত্বই পাই।
কেউ বা আবার সমান অধিকারের কথা বলে,
নারী-পুরুষ একসাথে, মিলবে সঠিক ফলে।
সমান হলে অধিকার, সমাজ পাবে সুখ,
নিচে নামালে পুরুষ, সমাজে পড়বে দুঃখ।
অধিক সম্মান পেলে নারী, পুরুষ পড়ে হীন,
ভেদাভেদে হবে শুধু সমাজের গতি ম্লান।
সমতার পক্ষে যারা, তাদের পথেই চল,
নারী-পুরুষ মিলেই জীবন হবে সফল।
নারী নিয়ে চলছে তর্ক, বাড়ছে মতভেদ,
কেউ তাকে গগনে তুলে করছে বাহ্যবেদ।
নারীকে সম্মান দিও, তবে পুরুষকেও চাই,
সমানাধিকার ছাড়া সত্য কি আর পাই?
নারীকে কেউ গগনে তোলে, পুরুষ নিচে রাখে,
এভাবে যদি চলে তবে সমাজে কি থাকে?
সমান হলে অধিকার, সমান হবে প্রাণ,
উভয়ের সম্মানে হবে সমাজের সম্মান।
অধিক সম্মান দিলে নারী হবে কি মহান?
পুরুষকে ছোট করলে হয় কেবল অপমান।
সমান তালে চললে তবে মিলবে সত্যপথ,
সম্মানের ভাগে যেন কেউ না পায় রথ।
সমান অধিকার মেলে, যখন হাতে হাত,
নারী-পুরুষ একসাথে, সমাজ গড়ে জাত।
বিভেদ হলে ভাঙবে সব, হবে অগ্রগতি ক্ষত,
সমান হতে নারী-পুরুষ একে অন্যের বৃত্ত।
নারীকে কেউ নিচে রাখে, কেউ তোলে গগনে,
সম্মান দিতে হবে সমান, এটাই মোর বাণী।
নারী-পুরুষ একসাথে চলুক এক পথে,
সমানাধিকারের আলো থাকুক সমাজরথে।
সম্মান চাই সমানভাবে, নারী-পুরুষ এক,
বিভেদ দিলে সমাজ হবে শুধু গভীর ক্ষত।
সমাজের মূল চাবিকাঠি, সমান অধিকার,
নারীকে দিলে অধিক মান, পুরুষ পড়ে হার।
তাই বলি সমান হতে নারী-পুরুষের স্থান,
সমান সম্মানেই হবে সমাজের জয়গান।
অধিকারের পথে সবাই মিলে থাক,
মানবতার সম্মানেই সমাজ আলো পাক।