বিরহের শূন্যতা —অপু চন্দ্র বর্মন
বিরহের শূন্যতা
অপু চন্দ্র বর্মন
বিরহের অশ্রু যখন শ্রাবণে ঝরে,
মর্মে ব্যথা তবু হৃদয়ে পড়ে,
দহন জ্বালা যেন তপ্ত সাগরের তরঙ্গ,
ব্যাকুল বায়ুরে লয়ে আসিছে অঙ্গ।
শীতল নিশ্বাসে ম্লান হিমকণা ফোটে,
চেতনাহীন হৃদয় জাগে জাগরণে ক্ষণে,
আঁখির জলপাতে প্রগাঢ় ব্যথা কথা,
নিভৃত কুঞ্জে রয় ছায়াময় স্মৃতিপথা।
বেদনাবিধুর হৃদয় বেজায় বীণার তারে,
ধ্বনিত হয় অশান্তি করুণ সুরধারে।
সুদূর দিগন্তে তবু উজ্জ্বলতার ধোঁয়া,
প্রহরে প্রহরে যেন শূন্যতায় মাখা ছোঁয়া।
অন্তঃস্থলেতে জাগে সুপ্ত বিষাদের ছায়া,
কাঁদে জীবন যেন দূরপ্রান্তের হায়া।
সমুদ্রের ঢেউয়ে সে দূরের দূত,
স্মৃতিতে ভাসমান প্রেমের কাতর হুত।
চুপিসারে সে আসিয়া বাহির হয় চিত্ত,
দুঃখের গীতিমালা বাজায় তীব্র সুরের রীত।
অশ্রুজলে গড়া অজস্র দীর্ঘরেখা,
শূন্যতায় মিলায় বিরহের নির্মল দেখা।
অজস্র তারকায় যেন জ্বলে অভিশাপ,
তুমি অনন্ত তবু দূরে, সেই ম্লান স্বপ্নের মাপকাঠ।
পলাতক রাতের ছায়া খুঁজে ফেরে অন্তর,
ব্যথার সুরে বাঁধা এ হৃদয়ের কণ্ঠর।
বিধৃত আকাশে আজ ব্যাকুল চিত্ত শোক,
যেন মিলনে হারায় অমরায় থমক।
অস্পর্শ বেদনায় সেই তপ্ত স্মৃতি পুড়ে,
বিরহের সুরে বাজে হৃদয় যত দূরপথে।
অপু চন্দ্র বর্মন
বিরহের অশ্রু যখন শ্রাবণে ঝরে,
মর্মে ব্যথা তবু হৃদয়ে পড়ে,
দহন জ্বালা যেন তপ্ত সাগরের তরঙ্গ,
ব্যাকুল বায়ুরে লয়ে আসিছে অঙ্গ।
শীতল নিশ্বাসে ম্লান হিমকণা ফোটে,
চেতনাহীন হৃদয় জাগে জাগরণে ক্ষণে,
আঁখির জলপাতে প্রগাঢ় ব্যথা কথা,
নিভৃত কুঞ্জে রয় ছায়াময় স্মৃতিপথা।
বেদনাবিধুর হৃদয় বেজায় বীণার তারে,
ধ্বনিত হয় অশান্তি করুণ সুরধারে।
সুদূর দিগন্তে তবু উজ্জ্বলতার ধোঁয়া,
প্রহরে প্রহরে যেন শূন্যতায় মাখা ছোঁয়া।
অন্তঃস্থলেতে জাগে সুপ্ত বিষাদের ছায়া,
কাঁদে জীবন যেন দূরপ্রান্তের হায়া।
সমুদ্রের ঢেউয়ে সে দূরের দূত,
স্মৃতিতে ভাসমান প্রেমের কাতর হুত।
চুপিসারে সে আসিয়া বাহির হয় চিত্ত,
দুঃখের গীতিমালা বাজায় তীব্র সুরের রীত।
অশ্রুজলে গড়া অজস্র দীর্ঘরেখা,
শূন্যতায় মিলায় বিরহের নির্মল দেখা।
অজস্র তারকায় যেন জ্বলে অভিশাপ,
তুমি অনন্ত তবু দূরে, সেই ম্লান স্বপ্নের মাপকাঠ।
পলাতক রাতের ছায়া খুঁজে ফেরে অন্তর,
ব্যথার সুরে বাঁধা এ হৃদয়ের কণ্ঠর।
বিধৃত আকাশে আজ ব্যাকুল চিত্ত শোক,
যেন মিলনে হারায় অমরায় থমক।
অস্পর্শ বেদনায় সেই তপ্ত স্মৃতি পুড়ে,
বিরহের সুরে বাজে হৃদয় যত দূরপথে।