সনাতনের শাশ্বত ধারা— অপু চন্দ্র বর্মন
সনাতনের শাশ্বত ধারা
— অপু চন্দ্র বর্মন
সনাতন ধ্রুপদীর পথে মহাকালের গান,
জন্ম-মৃত্যুর চক্রেতে চিরন্তন প্রাণ।
সৃষ্টির আদিতে আলোয় রঞ্জিত যে ব্রহ্ম,
বেদ-উপনিষদে সেই শাশ্বত ধ্যান।
তপঃশক্তির অগ্নি, ধ্যানের গভীরতা,
যোগের প্রাঙ্গণে মেলে আত্মার বিশুদ্ধতা।
মন্ত্রের মর্মধ্বনি, গীতার অমোঘ বাণী,
ধর্মের শাশ্বত রূপে আত্মার মুক্তি যাত্রা।
জ্ঞানযোগে দীপ্তিত, কর্মযোগের শক্তি,
বাক্যের মোহন ছন্দে জাগে ঈশ্বর ভক্তি।
ধর্মের অনন্ত স্রোতে ভাসে যুগের পালা,
সনাতনের শাশ্বত বাণী—কালের চিরকথা।
— অপু চন্দ্র বর্মন
সনাতন ধ্রুপদীর পথে মহাকালের গান,
জন্ম-মৃত্যুর চক্রেতে চিরন্তন প্রাণ।
সৃষ্টির আদিতে আলোয় রঞ্জিত যে ব্রহ্ম,
বেদ-উপনিষদে সেই শাশ্বত ধ্যান।
তপঃশক্তির অগ্নি, ধ্যানের গভীরতা,
যোগের প্রাঙ্গণে মেলে আত্মার বিশুদ্ধতা।
মন্ত্রের মর্মধ্বনি, গীতার অমোঘ বাণী,
ধর্মের শাশ্বত রূপে আত্মার মুক্তি যাত্রা।
জ্ঞানযোগে দীপ্তিত, কর্মযোগের শক্তি,
বাক্যের মোহন ছন্দে জাগে ঈশ্বর ভক্তি।
ধর্মের অনন্ত স্রোতে ভাসে যুগের পালা,
সনাতনের শাশ্বত বাণী—কালের চিরকথা।
কবিতাটির অর্থ হলো সনাতন ধর্মের চিরন্তন ও শাশ্বত রূপের বর্ণনা। এখানে মহাকাল, জন্ম-মৃত্যুর চক্র, বেদ-উপনিষদ, যোগ, তপস্যা, এবং গীতা—এই সবকিছুকে একত্র করে সনাতন ধর্মের মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথম স্তবকে মহাবিশ্বের চক্রে চিরন্তন প্রাণের সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে, যা বেদ-উপনিষদে ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্তবকে ধ্যান, তপস্যা, এবং আত্মার শুদ্ধির কথা এসেছে, যা সনাতন ধর্মের মন্ত্র ও শাস্ত্রগুলির মূল শিক্ষা।
তৃতীয় স্তবকে যোগ, কর্ম ও জ্ঞানের শক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরভক্তি এবং চূড়ান্ত মুক্তির পথ বর্ণনা করা হয়েছে। সবশেষে, সনাতন ধর্মের চিরন্তন ধারা কালের সাথে সাথে বদলালেও এর মূল আদর্শ অবিনশ্বর থাকে, এই কথাটি তুলে ধরা হয়েছে।