আকাশ যেন আজ অনন্ত ব্যথার ভারে নত। নীলিমা লুকাইল মেঘের ঘনচাদরে, আলো থমকে দাঁড়াইল ছায়ার দ্বারে। অথচ কবিতা আসিবার কথা ছিল, শব্দের ফুল ফোটিবার কথা ছিল নীরবতার বাগিচায়। কিন্তু কাহার অচেতনে ভ্রম? কাহার মনের অগোচরে হারাইল ছন্দের বীণা? সে যে খুঁজিতেছে অমলতার স্বপ্নে আশ্রয়, যেখানে রৌদ্র কণার নীরব দীপ্তি বিস্তার করে, যেখানে বায়ু পূর্ণ হয় অনন্ত পবিত্রতার স্নিগ্ধ সুবাসে।
হঠাৎই মেঘের অন্তর হতে উদ্ভাসিত হইল এক অদৃশ্য আহ্বান—
“রোদ্রের আসন দাও, আঁধারের পর্দা সরাও।”
তখনই প্রাণে ধরা দিল অমোঘ সত্য— অপেক্ষা কেবল দুঃখ নয়, প্রতিশ্রুতির সৌন্দর্য লুকায় তাহার গভীরে। যেমন ভোরের আগে রাতের অন্ধকারে জন্মে উষার মাধুরী, তেমনই প্রতীক্ষার বুকের ভিতরেই লুকায় স্নিগ্ধ প্রতিশ্রুতির অমৃত।
—অপু চন্দ্র বর্মন
রাজাগাঁও, ঠাকুরগাঁও