অন্তর্জগতের আন্দোলন: মানবজাতির অন্তর্নিহিত শক্তির এক মহাকাব্য

মানুষ মাত্রই মহাপুরুষ | অপু চন্দ্র বর্মন

মানুষ মাত্রই মহাপুরুষ

অপু চন্দ্র বর্মন

মানব জন্ম মহিমাময়, রচিত প্রজ্ঞায় প্রকৃতি, আলোকের পথ প্রদর্শনে, থাকে অবিচল অমৃতি। অন্তঃস্থলে অন্তর্দীপ জ্বলে, জ্ঞানের দীপ্তি প্রদীপ্ত, অহঙ্কার অবনত করিয়া, মানব হয়ে স্নিগ্ধ।

অক্ষয় মহিমা অন্তর্হিত নয়, প্রচ্ছন্নের গভীরতায়, মানব চেতনা জাগ্রত হইলে, দুঃখ গহন ক্ষয়। মহাপুরুষের মহানাদ শুনি, অন্তর্জগৎ আন্দোলিত, পতনের পঙ্কে যাত্রা রোধে, মনের দীনতা পরাহত।

পরম করুণাময় সৃষ্টি, নর-নারীর রূপে প্রকাশ, জ্ঞানে, প্রেমে, কর্মে, সাধনায়, দিগন্তে করে বিকাশ। স্বর্গমুখীর পথে অনুসন্ধান, সদা প্রশস্ত চিন্তায়, অমরত্বের অভিপ্রায় লভিতে, নিত্য নিষ্ঠা অন্তর্দৃষ্টায়।

অসীম গুণাবলির ধারক, প্রতিজন মানব সম্ভ্রান্ত, ক্ষমার দ্বারা উচ্চতর হয়, হয় নির্মল অপার্থিব শান্ত। অতীতের কীর্তি স্মরণ করি, সাহসিকতার অভিষেক, মহাপুরুষের পদাঙ্ক ধরে, বাঁচে ভবিষ্যৎ আশ্রয়।

দুঃখের অতল গহ্বর হইতে, উঠে আসে সাহস সঞ্চয়ে, মানবের ললাটে জ্বলে তপস্যা, মুছে দুর্বলতার অন্ধকারে। সহমর্মিতার মর্মস্পর্শে, জাগে হৃদয়ে সুখ-সুধা, অপকার রোধে, স্বার্থপরতা ঘুচে, অঙ্কুরিত প্রেমের কণা।

মানবতার মহামন্ত্রে, জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ মুছে, সত্যে অটল থেকে জীবনের পথে, আলোকিত পথে পা রাখে। শৃঙ্খলমুক্ত হৃদয়ের ডাকে, জাগে নবীন সম্ভাবনা, সদিচ্ছার মাধ্যমে গঠে, উন্নত মানব সমাজের ধারা।

মানুষমাত্রই মহাপুরুষ, অন্তর্লীন শক্তি ধারণ, সৌন্দর্যের সাধন হোক, অন্তর-বাহিরে সমাপন। জীবনযুদ্ধে জয়ী হইয়া, সত্য ও সুন্দর অবিচল, মহাপুরুষের পদক্ষেপে লভে, মানবজীবনের ফল।

© 2024 অপু চন্দ্র বর্মন

Next Post Previous Post